বিলুপ্তির পথে যাত্রাশিল্প, তা আবারো চোখ ঝলকানো আয়োজনে, ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালা "গরীবের আর্তনাদ"।
আরিফুল ইসলাম সবুজ, নাটোর জেলা সিনিয়র রিপোর্টার:
ডাঙ্গাপাড়া হরি মুন্দির প্রাঙ্গণে ছিলো বড় আর্চালা ঘর, এলাকার হিন্দু ও কিছু মুসলীম সংস্কিতি মনা ও বিনোদন প্রেমী মানুষ ছিলো যারা প্রতি বছরে একবার আয়োজন করতো সপ্তাহব্যাপী যাত্রা পালার আয়োজন, বিভিন্ন গ্রাম থেকে যাত্রাপালা উপভোগ করার জন্য ছুটে আসতেন বিনোদন প্রেমীরা।
আজ প্রায় দুই যুগ পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়ে ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালা বিলুপ্ত হতে চলেছে, ডাঙ্গাপাড়া যাত্রা গোষ্ঠী এরই মধ্যে দীর্ঘিন পর নাটোরের, সিংড়া উপজেলার, লালোর ইউনিয়নের, ২নং ওয়ার্ড ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বিনোদন প্রেমী ও সংস্কৃতি মনা কিছু মানুষের উদ্যোগে ও স্থানীয়দের সম্মতিতে আয়োজন করেন সান্ধ্যকালীন যাত্রাপালা "গরীবের আর্তনাদ" এ সময় দুর দূরান্ত থেকে আগত সকলেই উৎসবমুখর পরিবেশে খুবই আনন্দের সহিত যাত্রাপালা উপভোগ করেন।
যত্রাগোষ্টি পরিচালক: বাউল শিল্পী ও অভিনেতা আব্দুল খালেক ও ডাঙ্গাপাড়া যাত্রা গোষ্ঠী উন্নুতোম তপন বলেন, বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ যাত্রাপালা। সারা রাত জেগে যাত্রা দেখে ঢুলু ঢুলু চোখে ভোরে বাড়ি ফেরা বাঙালীর ঐতিহ্যের একটি অংশ।
এই যাত্রা থেকেই এসেছে নাটক, থিয়েটার ও সিনেমা। বাঙালীর এই আদি সংস্কৃতি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে যাত্রাপালা।
এখন সেই বজ্রকণ্ঠের সিরাজউদ্দৌলার ডায়ালগ শোনা যায় না। দেখা যায় না কুশীলবের প্রাণখোলা অভিনয়। শোনা যায় না বিবেকের হৃদয়স্পর্শী গান কিংবা শানাইয়ের ঐতিহ্যবাহী করুণ সুর।
সময়োপযোগী করে নতুনভাবে দর্শকের সামনে তুলে ধরার তেমন কোন উদ্যোগই চোখে পড়ে না।
যাত্রাশিল্প ধীরে ধীরে কেন বিলুপ্তির পথে এ প্রশ্ন ঘুরে ফিরে সবার মুখে। কেউ দুষছেন স্থানীয় প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতাকে, কেউ দুষছেন যাত্রাদলের মালিকদের, কেউ বলছেন পৃষ্ঠপোষকতার অভাব আবার কেউ বলছেন আয়োজক কমিটি সংস্কৃতিমনস্ক না হওয়ার কারণে এই দৈন্যদশা।
যত্রাগোষ্টি পরিচালক: বাউল শিল্পী ও অভিনেতা আব্দুল খালেক ও তপন বলেন, আমরা সান্ধ্যকালীন যাত্রাপালা করার করছি। আমরা যাত্রার নামে যে আগাছা এগুলোকে দূর করে একটি সৃজনশীল যাত্রাপথ রচনাকরতে চাই।
যা কিছু হবে নির্মল, ডাঙ্গাপাড়া যাত্রা গোষ্ঠী আয়োজকরা যাত্রাপালা করে, তাতে যে ব্যায় হয় এর জন্য আয়োজকরা পিছিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে গ্রাম-গঞ্জে যারা আয়োজন করতেন তারা এত টাকা খরচ করতে পারছেন না।
যাত্রাগোষ্টি পরিচালক: বাউল শিল্পী ও অভিনেতা আব্দুল খালেক বলেন, যাত্রা পালা বিলুপ্তির পথে ।
যাত্রা শিল্পটাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকারের সার্বিক সহযোগিতা আমরা সব সময় আশা করি।
এই শিল্পটাকে বাঁচানোর জন্যে সবার এগিয়ে আসা উচিত। আমরা ভালর পক্ষে। আমরা যাত্রায় অশ্লী
লতা চাই না।


No comments